নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেছেন, আমি যে পরিবারে জন্ম সেই পরিবারেই সেই বাড়িতে আওয়ামী লীগের জন্ম হয়েছে। আজ শুধু চারিদিকে দেখছি বঙ্গবন্ধু আর বঙ্গবন্ধু। কিন্তু আমি যখন এইটের ছাত্র, নাইনে ওঠার পর থেকে মার খাওয়া শুরু করেছি, ৭৯ থেকে জেল খাটা শুরু করেছি। ৭৯ থেকে এ পর্যন্ত আসতে গিয়ে আমাদের ৫০ জন মানুষকে এ হাত দিয়ে দাফন করতে হয়েছে। শুধু একটাই দাবি ছিল, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার চাই।
শনিবার (১৪ মার্চ) সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত টেনিস টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
শামীম ওসমান বলেন, আমরা যখন রাজনীতি করতে এসেছি নেত্রী তখন দেশে আসেন নাই। রাজনীতিতে কেন আসছি সেটা বুঝেও আসি নাই। ছোট্ট বেলায় আমার কাছে যখন জিজ্ঞেস করতাম স্বাধীনতা মানে কি? আম্মা বলতেন, স্বাধীনতা মানে বঙ্গবন্ধু আর বঙ্গবন্ধু মানেই স্বাধীনতা। কিন্তু ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধুকে যখন হত্যা করা হল তখন আম্মাকে আবার জিজ্ঞেস করেছিলাম আমরা কি স্বাধীন না? আম্মা কোনো উত্তর দিতে পারেন নাই। সেই উত্তর খোঁজার জন্য রাস্তায় নেমেছিলাম। এ রাস্তায় চলতে গিয়ে আমাদের অনেক বন্ধুকে হারাতে হয়েছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের জন্যই রাজনীতিতে এসেছিলাম। আমাদের নেত্রীর সাথে আমাদের মিলত না। আমরা ভেবেছিলাম হত্যার প্রতিশোধটা একটু ভিন্ন ভাবে নিবো। কিন্তু তিনি বলতেন, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মধ্যে বিচার হবে। ২০০১ সালে ক্ষমতা ছাড়ার পর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় নেত্রী যদি বেঁচে না থাকতেন, তাহলে আজকে এখানকার অনেকেই জেলের মধ্যে থাকতেন।
তিনি বলেন,এ দুনিয়াতে কোনো কিছুই স্থায়ী না। সারা পৃথিবীতে এখন করোনার কারণে জিডিপি কমে গেছে। আমার বিশ্বাস, হয়তো আমাদের দেশে করোনার ধাক্কা আসবে না। আমি আল্লাহর পথে আছি। কোনো দেশের রাষ্ট্রনায়ক যদি খুব বেশি আল্লাহওয়ালা হয়, সে দেশের উপর আল্লাহর আলাদা একটা রহমত থাকে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস এবং আমার দেখা মতে, শেখ হাসিনার মত এত আল্লাহওয়ালা মানুষ আর দেখিনি।
অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসন সচিব শেখ ইউসুফ হারুন, সিনিয়র সচিব মেসবাহ উদ্দিন, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. জসিম উদ্দিন,পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ও নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের প্রেসিডেন্ট তানভীর আহমেদ টিটু,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) মুহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।